টনসিলের প্রদাহ

হাঁ করলে গলার ভেতরে ডান ও বাঁদিকে ছোট্ট বলের মতো যা দেখা যায় তার নামই টনসিল। শিশুদের এই টনসিল দুটো প্রায়ই যন্ত্রণা দিয়ে থাকে। শরীরে রোগ-জীবাণুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধব্যবস্থার অংশ হিসেবে কাজ করে এই টনসিল জোড়া। কিন্তু এই যোদ্ধা যখন নিজেই জীবাণুর শিকার হয় তখন বলা হয় টনসিলাইটিস বা টনসিলের প্রদাহ।

টনসিলাইটিসের লক্ষণ
বিভিন্ন রোগ-জীবাণু নাক-মুখ দিয়ে দেহের ভেতর প্রবেশ করে প্রথম প্রতিরোধের সম্মুখীন হয় গলায়, টনসিলের মাধ্যমে। তাই এরাই অনেক সময় জীবাণুর প্রথম আক্রমণের শিকার। আক্রান্ত হলে যেসব লক্ষণ দেখা দেয় তা হলো:
 গলা ব্যথা, খুসখুসে কাশি।
 খাবার গিলতে, পানি পান করতে ব্যথা।
 জ্বর।
 মুখের ভেতরে টনসিল বেশ লালচে বর্ণ ধারণ করে।
 টনসিলের ওপর হলুদ বা সাদা আস্তরণ পড়তে পারে।
 গলার ভেতর এর আশপাশের অন্যান্য লসিকাগ্রন্থিও ফুলে যায়।
 মুখে দুর্গন্ধ হতে পারে।
রোগ শনাক্ত
টাং ডিপ্রেসর দিয়ে জিবকে চেপে ধরে ভেতরে প্রদাহ আছে কি না দেখে বোঝা সহজ যে টনসিলাইটিস হয়েছে।
চিকিৎসা
 যদি স্ট্রেপটোকক্কাস ব্যাকটেরিয়া প্রমাণিত হয় তবে অ্যান্টিবায়োটিক খেতে হবে। সঠিক অ্যান্টিবায়োটিক পূর্ণ মেয়াদে যথা সময়ে শেষ করতে হবে।
 ভাইরাসজনিত টনসিলের প্রদাহে অ্যান্টিবায়োটিকের কোনো ভূমিকা নেই। যদি টনসিল স্ফীতি ও সংক্রমণ গুরুতর হলে অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হতে পারে।
 টনসিলাইটিস হলে বেশি বেশি তরল খাবার ও গরম পানীয় পান করতে হবে। শিশুদের গরম স্যুপ, জাউ বা নরম করে রান্না করা খাবার দিলে ভালো।
ডা. প্রণব কুমার চৌধুরী
শিশুরোগ বিভাগ, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।
সুত্রঃবাংলা হেলথ

Comments